পেকুয়ায় টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্যাস পাইপ লাইন কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মুহাম্মদ হোসেন নামের প্রবাসী। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকার মৃত সালামের পুত্র। অভিযুক্তরা হলেন, গ্যাস পাইপ লাইনের কন্ট্রাক্টর ঢাকা মুহাম্মদপুর এলাকার মৃত আবদুল কাদের মুন্সির পুত্র আবুল হাশেম তার পুত্র ছোট রিপন ও মুহাম্মদ রিপন। তাদের সবার হালসাং দেওয়া হয়েছে বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়্যাকাটা এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন প্রকল্প এরিয়া।
থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাদি মুহাম্মদ হোসেনের সাথে কন্ট্রাক্টর মো: রিপনসহ অন্য দুজনের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা এতোই বেশি ঘনিষ্ট হয় একে অপরের পরিবার আসাও শুরু করে। এক সময় গ্যাস পাইপ কন্ট্রাক্টরের সাথে শ্রমিকদের বেতন বকেয়া নিয়ে সংঘর্ষ হলে সম্পর্কের খাতিরে বাদির কাছ থেকে ৬লাখ ৬৫ হাজার টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে হওলাত নেয়। এছাড়াও একটি আই ফোন ও ২নং বিবাদী পেকুয়া স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা বাবদ ৩০হাজার নেয়। যার মধ্যে বিভিন্ন কিস্তিতে পরিশোধের পর এখনো ৪লাখ ১৬ হাজার টাকা পাওনা আছে।
ইতিমধ্যে ১নং বিবাদী তার সব অংশিদারীত্ব ২ ও ৩নং বিবাদিকে বুঝিয়ে দেন। এ বিষয়টি বাদি জানতে পেরে ১নং বিবাদি পেকুয়া ছেড়ে যাওয়ার সময় পাঁকড়াও করলে তিনি তাৎক্ষনিক ৫০হাজার একটি চেক বাকি টাকার হিসাব ২ ও ৩নং বিবাদিকে মোকাবেলা দেয়। ব্যাংক এ টাকা উত্তোলন করতে গেলে একাউন্ট শূন্য পাওয়া যায় এবং কিছুদিন পর ওই টাকা তাদের কাছ থেকে খুজঁতে গেলে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে আমাকে জবাব দেয়। আর এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাৎক্ষনিক অবগত করি। পরে এর কোন সুরাহা না হওয়ায় পেকুয়া থানায় তিনজনকে বিবাদি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদি মুহাম্মদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার বহু কষ্টে উপার্যিত টাকা তাদের হাওলাত দিয়ে না পাওয়ায় বিচার প্রার্থনায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তারা এ বিষয়টি পাশ কাটাতে উল্টো আমার বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। আমার টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পেকুয়া থানার এএসআই নাজির মুহাম্মদ হোসেনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন